জীবনের সংজ্ঞা | প্রোটোপ্লাজমের বর্ণনা | জীববিজ্ঞান এবং শাখাসূমহ | জীবের বৈশিষ্ট্য | জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্য | উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য

 

জীবনের সংজ্ঞা (Definition of Life) 

জীবন হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি সত্তা বৃদ্ধি, উন্নতি, প্রজনন, উত্তেজনাশীলতা, শ্বসন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে অভিযোজন (খাপ খাওয়ানো” বা “পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলা) করতে পারে। (জীবনের সংজ্ঞা)

জীবনের সংজ্ঞা ও প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  1. কোষীয় গঠন (Cellular Organization) – সব জীব এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত।
  2. শ্বসন (Metabolism) – খাদ্য গ্রহণ করে শক্তি উৎপন্ন করা।
  3. উদ্দীপনার প্রতি সাড়া (Response to Stimuli) – পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানো।
  4. উন্নয়ন ও বৃদ্ধি (Growth and Development) – সময়ের সাথে আকার ও জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়া।
  5. প্রজনন (Reproduction) – নিজস্ব বৈশিষ্ট্য উত্তরাধিকারসূত্রে নতুন প্রজন্মের মধ্যে স্থানান্তর করা।
  6. অভিযোজন ও বিবর্তন (Adaptation and Evolution) – সময়ের সাথে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো।
  7. সমস্থানুস্থতা (Homeostasis) – অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখা।

প্রোটোপ্লাজমের বর্ণনা (Description of Protoplasm in Medical Biology)

জীবনের সংজ্ঞা জানতে হলে প্রোটোপ্লাজম সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে প্রোটোপ্লাজম হলো জীবন্ত কোষের মূল উপাদান, যা কোষের সমস্ত জৈবিক কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু। এটি আধা-তরল, আঠালো পদার্থ যা কোষের অভ্যন্তরে থাকে এবং নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমকে অন্তর্ভুক্ত করে।

প্রোটোপ্লাজমের উপাদান:

প্রোটোপ্লাজম প্রধানত নিম্নলিখিত জৈবিক উপাদান দ্বারা গঠিত –

  1. পানি (Water) – প্রোটোপ্লাজমের প্রায় ৭০-৯০% পানি থাকে, যা দ্রাবক হিসেবে কাজ করে।
  2. প্রোটিন (Proteins) – কোষের গঠন ও কার্যকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  3. লিপিড (Lipids) – কোষঝিল্লির গঠনে সহায়তা করে এবং শক্তি সংরক্ষণ করে।
  4. কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates) – শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
  5. নিউক্লিক এসিড (Nucleic Acids – DNA & RNA) – জেনেটিক তথ্য বহন করে এবং প্রোটিন সংশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রোটোপ্লাজমের প্রধান অংশ:

প্রোটোপ্লাজমকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় –

  1. সাইটোপ্লাজম (Cytoplasm) – এটি কোষঝিল্লির ভেতরের অংশ, যেখানে কোষীয় অঙ্গাণুগুলো থাকে এবং বিপাকীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
  2. নিউক্লিওপ্লাজম (Nucleoplasm) – এটি নিউক্লিয়াসের ভেতরে থাকে এবং জেনেটিক উপাদান ধারণ করে।

প্রোটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্য:

  • এটি জীবিত কোষের সক্রিয় অংশ, যেখানে সমস্ত বিপাকীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
  • এটি আঠালো ও আধা-তরল, যা অনবরত পরিবর্তিত হয়।
  • প্রোটোপ্লাজম কোষ বিভাজন, বৃদ্ধি ও বংশগতি নিয়ন্ত্রণ করে।
  • এতে এনজাইম ও অন্যান্য জৈব যৌগ থাকে, যা বিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মেডিকেল বিজ্ঞানে প্রোটোপ্লাজমের গুরুত্ব:

  • কোষীয় জীববিজ্ঞানে এটি কোষের মৌলিক কার্যক্রম বোঝার জন্য অপরিহার্য।
  • চিকিৎসাবিজ্ঞানে কোষীয় রোগ ও ক্যান্সার গবেষণায় প্রোটোপ্লাজম বিশ্লেষণ করা হয়।
  • প্রোটোপ্লাজমের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হলে কোষীয় রোগ ও জেনেটিক ডিসঅর্ডার দেখা দিতে পারে।

জীববিজ্ঞানের প্রধান শাখাসমূহ

১. প্রাণিবিজ্ঞান (Zoology)

এটি প্রাণীদের গঠন, শ্রেণিবিন্যাস, শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম এবং আচরণ নিয়ে গবেষণা করে।

২. উদ্ভিদবিজ্ঞান (Botany)

উদ্ভিদ সম্পর্কিত বিজ্ঞান যেখানে তাদের গঠন, বৃদ্ধি, বিপাকক্রিয়া এবং পরিবেশের সাথে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

৩. অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology)

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য অণুজীব নিয়ে গবেষণা করা হয়।

জীববিজ্ঞানের আরও গুরুত্বপূর্ণ শাখাসমূহ:

৪. শারীরতত্ত্ব (Physiology)জীবের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে।

৫. প্রাণরসায়ন (Biochemistry) – জীবের রাসায়নিক গঠন ও বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে।

৬. কোষবিদ্যা (Cytology) – কোষের গঠন ও কার্যপ্রণালি নিয়ে আলোচনা করে।

৭. জিনতত্ত্ব (Genetics) – বংশগতি এবং জিনের কার্যপ্রণালি নিয়ে গবেষণা করে।

৮. পরিবেশবিদ্যা (Ecology) – জীব ও পরিবেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।

৯. বিবর্তনবিদ্যা (Evolutionary Biology) – জীবের বিবর্তন ও পরিবর্তনশীলতা নিয়ে গবেষণা করে।

১০. জীবপ্রযুক্তি (Biotechnology) – জীববিজ্ঞানকে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রয়োগ করার শাখা।

জীবের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Living Organisms)

জীববিজ্ঞানে, জীবকে নির্ধারণ করার জন্য কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকে যা তাদের নির্জীব বস্তু থেকে আলাদা করে। জীবের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে দেওয়া হলো—

১. কোষীয় গঠন (Cellular Organization)

প্রতিটি জীব এক বা একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত। যেমন:

  • এককোষী জীব (ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা)
  • বহুকোষী জীব (মানুষ, গাছ)

২. বিপাক ক্রিয়া (Metabolism)

জীবদের দেহে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়, যা শক্তি উৎপাদন ও দেহের গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিপাকীয় প্রক্রিয়া দুই ধরনের—

  • অ্যানাবলিজম (Anabolism): নতুন উপাদান তৈরি হয়।
  • ক্যাটাবলিজম (Catabolism): জটিল উপাদান ভেঙে শক্তি উৎপন্ন হয়।

৩. বৃদ্ধি ও বিকাশ (Growth and Development)

জীবরা তাদের জীবনচক্রে বৃদ্ধি পায় এবং পরিপক্ব হয়। যেমন, উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও শিশুর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।

৪. উদ্দীপনা ও প্রতিক্রিয়া (Irritability and Response to Stimuli)

জীবরা পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন উদ্দীপনার (Stimuli) প্রতি সাড়া দেয়। উদাহরণ:

  • গাছের সূর্যালোকের দিকে ঝোঁকা।
  • চোখে আলো পড়লে পাপড়ি সংকুচিত হওয়া।

৫. জনন (Reproduction)

জীবরা বংশবৃদ্ধির জন্য জনন করে। এটি দুই ধরনের—

  • অযৌন জনন (Asexual Reproduction): একক জীব থেকে নতুন জীব তৈরি হয় (যেমন: ব্যাকটেরিয়া বিভাজন)।
  • যৌন জনন (Sexual Reproduction): স্ত্রী ও পুরুষের গ্যামেট মিলনে নতুন জীব তৈরি হয় (যেমন: মানুষ, প্রাণী)।

৬. শ্বাসক্রিয়া (Respiration)

জীবরা অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং শক্তি উৎপাদন করে। শ্বাসক্রিয়া দুই ধরনের—

  • বায়বীয় শ্বাসক্রিয়া (Aerobic Respiration): অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।
  • অবায়বীয় শ্বাসক্রিয়া (Anaerobic Respiration): অক্সিজেন ছাড়া শক্তি উৎপন্ন হয়।

৭. পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো (Adaptation)

জীবরা তাদের পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হয়, যা বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়ায়।

৮. নির্দিষ্ট জীবনচক্র (Definite Life Cycle)

প্রত্যেক জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং মৃত্যুর একটি নির্দিষ্ট চক্র থাকে।

৯. বর্জ্য নিষ্কাশন (Excretion)

জীবরা বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন বর্জ্য অপসারণ করে। উদাহরণ:

  • মানুষ মূত্রত্যাগ ও ঘামের মাধ্যমে বর্জ্য ত্যাগ করে।
  • গাছ অক্সিজেন ত্যাগ করে।

১০. শক্তির ব্যবহার (Energy Utilization)

জীবরা বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য শক্তি ব্যবহার করে। উদাহরণ:

  • উদ্ভিদ সূর্যালোক থেকে শক্তি গ্রহণ করে (সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া)।
  • প্রাণীরা খাদ্য থেকে শক্তি পায়।

উপসংহার

উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো জীবকে নির্জীব বস্তুর থেকে পৃথক করে। কোনো বস্তুকে জীব বলে বিবেচনা করতে হলে এসব বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।

জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্য (Difference between Living and Non-living)

জীব এবং জড় (অপ্রাণী) বস্তু দুটি একে অপর থেকে বিভিন্ন দিক দিয়ে আলাদা। তাদের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো হলো:

বৈশিষ্ট্য জীব (Living) জড় (Non-living)
গঠন সজীব বস্তু কোষ দ্বারা গঠিত, জটিল ও সংগঠিত জড় বস্তু কোষ দ্বারা গঠিত নয়, সাধারণ গঠন
বৃদ্ধি ও বিকাশ জীবের বৃদ্ধি ও বিকাশ হয় জড় বস্তুতে বৃদ্ধি বা বিকাশ ঘটে না
বিপাকক্রিয়া (Metabolism) (পাচন প্রক্রিয়া) (শরীরের শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া)
জীবের মধ্যে বিপাকক্রিয়া ঘটে, শক্তি উৎপাদিত হয় জড় বস্তুতে কোনো বিপাকক্রিয়া থাকে না
বংশবৃদ্ধি জীবের বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা থাকে জড় বস্তু বংশবৃদ্ধি করতে পারে না
অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া জীব পরিবেশের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায় জড় বস্তু পরিবেশের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায় না
অ্যাডাপটেশন জীব তার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় জড় বস্তু পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় না
শক্তি ব্যবহার জীব খাদ্য গ্রহণ করে শক্তি ব্যবহার করে জড় বস্তু শক্তি ব্যবহার বা শোষণ করে না
জেনেটিক তথ্য জীবের মধ্যে জেনেটিক তথ্য থাকে (DNA/RNA) জড় বস্তুতে কোনো জেনেটিক তথ্য থাকে না
অন্তর্নিহিত সংগঠন (শারীরিক গঠন)  জীবের শারীরিক এবং রাসায়নিক সংগঠন জটিল ও সংগঠিত জড় বস্তুতে কোনো শারীরিক বা রাসায়নিক সংগঠন নেই
শ্বাসপ্রক্রিয়া (Respiration) জীব অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং বর্জ্য নির্গমন করে জড় বস্তুতে কোনো শ্বাসপ্রশ্বাস নেই

উপসংহার:

জীব এবং জড়ের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো জীবন্ত বস্তু তাদের পরিবেশের প্রতি সাড়া দেয়, বিকাশ লাভ করে, শক্তি ব্যবহার করে এবং বংশবৃদ্ধি করতে পারে, কিন্তু জড় বস্তু এসব ক্ষমতা রাখে না।

উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য (Difference between Plants and Animals)

উদ্ভিদ এবং প্রাণী দুটি জীবন্ত জগতের দুটি ভিন্ন শ্রেণী, এবং তাদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। নিচে উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো দেওয়া হলো:

বৈশিষ্ট্য উদ্ভিদ (Plants) প্রাণী (Animals)
খাদ্য গ্রহণ উদ্ভিদ খাদ্য প্রস্তুত করে (ফটোসিনথেসিস) প্রাণী খাদ্য গ্রহণ করে এবং হজম করে
শক্তির উৎস সূর্যালোকের শক্তি (ফটোসিনথেসিস) খাদ্য থেকে শক্তি গ্রহণ
পদার্থের গঠন কোষে ক্লোরোফিল থাকে কোষে ক্লোরোফিল থাকে না
বৃদ্ধি উদ্ভিদগুলি জীবনের সমস্ত সময়ে বৃদ্ধি পায় প্রাণী নির্দিষ্ট বয়সে বৃদ্ধি পায়
পুনঃপ্রজনন উদ্ভিদ সাধারণত বীজ বা অঙ্গজ প্রজনন করে প্রাণী সাধারণত যৌন প্রজনন দ্বারা বংশবৃদ্ধি করে
অভ্যন্তরীণ সঞ্চালন ব্যবস্থা (ভিতরের পরিবহন ব্যবস্থা) উদ্ভিদের সঞ্চালন ব্যবস্থা হলো এক্সাইলেম ও ফ্লোয়েম প্রাণীদের সঞ্চালন ব্যবস্থা হলো রক্ত ও রক্তনালী
অঙ্গসংস্থান উদ্ভিদে অঙ্গসংস্থান যেমন শিকড়, কান্ড, পাতা থাকে প্রাণীতে অঙ্গসংস্থান যেমন পা, হাত, চোখ থাকে
মোবিলিটি (চলাফেরা) উদ্ভিদ অমোবাইল (অচল) প্রাণী চলাফেরা করতে সক্ষম (মোবাইল)
শ্বাসক্রিয়া উদ্ভিদ শ্বাসপ্রশ্বাস (respiration) করে, তবে ফটোসিনথেসিসের মাধ্যমে অক্সিজেনও উৎপন্ন করে প্রাণী শ্বাসপ্রশ্বাস (respiration) করে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত করে
অভ্যন্তরীণ সংগঠন উদ্ভিদের গঠন তুলনামূলকভাবে সহজ (একক কোষী বা বহুকোষী) প্রাণীদের গঠন জটিল এবং বহু কোষী
রক্ত বা পরিবহন ব্যবস্থা উদ্ভিদের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা থাকে না প্রাণীদের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা থাকে
স্নায়ুকোষ উদ্ভিদে স্নায়ুকোষ বা স্নায়ুতন্ত্র নেই প্রাণীতে স্নায়ুকোষ এবং স্নায়ুতন্ত্র থাকে

উপসংহার:

উদ্ভিদ এবং প্রাণী দুটি আলাদা শ্রেণী, যেখানে উদ্ভিদ মূলত নিজের খাদ্য তৈরি করে এবং স্থির থাকে, কিন্তু প্রাণী খাদ্য গ্রহণ করে এবং চলাফেরা করতে সক্ষম। জীববিজ্ঞানে এই পার্থক্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা জীবের পরিবেশের সাথে সম্পর্ক এবং জীবনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া বোঝার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

আরো জানতে

Share.